ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপ ২০১৯

তামিম-মাশরাফির হয়ে হাল ধরলেন কোচ

ওয়ার্ল্ড কাপ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪১১ ঘণ্টা, জুলাই ৩, ২০১৯
তামিম-মাশরাফির হয়ে হাল ধরলেন কোচ স্টিভ রোডস। ফাইল ছবি: শোয়েব মিথুন

এবারের বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে খেলার সম্ভাবনা এক কথায় শেষ বাংলাদেশের। ভারতের বিপক্ষে ২৮ রানের হার স্বপ্নের শেষ দেখিয়ে দিয়েছে বাংলাদেশিদের। সাকিব আল হাসান একা হাতে যতটা দলকে এগিয়ে নিয়ে গেছেন আর কেউই তেমন ধারাবাহিকভাবে কিছু করে দেখাতে পারেননি। দল হয়ে না খেলাই সেমির স্বপ্ন শেষ করেছে বাংলাদেশের। 

বিশেষ করে অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা ও ওপেনার তামিম ইকবাল সবচেয়ে বেশি অকার্যকর এবারের বিশ্বকাপে। চারদিকে তাদের নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা চললেও খোদ প্রধান কোচ স্টিভ রোডস তাদের কোনো ব্যর্থতা দেখছেন না।

বিশেষ করে ভারতের বিপক্ষে তামিম ক্যাচ ছাড়াকেও আলোচনায় আনতে চান না কোচ।

বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল স্বপ্নভঙ্গের ম্যাচ শেষে দলের হয়ে প্রতিক্রিয়া জানাতে সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত হন কোচ রোডস। অধিনায়ক মাশরাফির বোলিং অকার্যকরিতা, তামিমের ক্যাচ ড্রপ আর অনুজ্জ্বল ব্যাটিং- এসব নিয়ে প্রশ্ন করা হলেও টাইগার কোচ তা খুব সন্তপর্নে এড়িয়ে যান।  

শুধু আক্ষেপ নিয়ে বলেন, ‘৩০ রান বেশি করে ফেলেছে ভারত। ’ নিজের এই কথার ব্যাখ্যায়ও বোলারদের কোনো দুর্বলতাকে সামনে আনেননি কোচ। বলেন, ‘আমার মনে হয় টসটা খুব ক্রশিয়াল ছিল। সকালে উইকেটটা সহজ ছিল। ব্যাটিং করাটাও তুলনামূলক স্বস্তির ছিলো। যে কারণে ৩০টি রান বেশি হয়েছে। উইকেট সহজ ছিল বলেই ভারতীয়রা ৩০ রান বেশি করতে পেরেছে। একই উইকেট পরের সেশনে স্লো হয়ে পড়ে। তাই স্বচ্ছন্দ ও সাবলীল ব্যাটিং করা সম্ভব হয়নি। আমরা ৩০ রান বেশি দিয়েছি আর হেরেছি ২৮ রানে। ’

এরপরই আসে তামিমের ক্যাচ মিস ও এবারের বিশ্বকাপে তার দুর্বল পারফরম্যান্সের কথা। সেখানেও কোচ দেখছেন না তামিমের কোনো দোষ। নিজের ব্যাখ্যায় বলে,  ভাল খেলতে না পারা নিয়েও তেমন অসন্তোষ নেই তার। তাই মুখে এমন কথা, ‘আসলে তামিমের ভাগ্য সহায় ছিল না। সে প্রাণপন চেষ্টা করেছে। আমি দেখেছি অনুশীলনেও প্রচুর পরিশ্রম করেছে। বাড়তি ঘাম ঝরিয়েছে। অনেক মন প্রাণ দিয়ে ব্যাটিং প্র্যাকটিসও করেছে। কিন্তু যে কোন কারণেই হোক রান পায়নি। আসলে কখনো কখনো এমন হয়, যখন অনেক প্রাণপন চেষ্টাও সফল হয় না। তামিমের ক্ষেত্রেও হয়ত তাই হয়েছে। ভুলে গেলে চলবে না তামিম দলের অন্যতম প্রতিষ্ঠিত ব্যাটসম্যান। অনেক ম্যাচ জয়ের নায়কও। অতীতে তার হাত ধরেই অনেক ম্যাচ জিতেছে বাংলাদেশ। আমার বিশ্বাস, সে মেধাবী ও প্রতিভাবান। বয়সও মোটামুটি অনুকূলে। হয়ত চার বছর পর বিশ্বকাপ আবার সুযোগ পাবে। ’

একইভাবে প্রশ্ন ওঠে এই বিশ্বকাপে মাশরাফির বোলিং নিয়েও। এখানেও কোচ অধিনায়কের পক্ষেই হাল ধরলেন। বলেন, ‘দেখেন মাশরাফি কিন্তু প্রাণপন চেষ্টা করেছে। সে সাহসী যোদ্ধা। বাংলাদেশের ক্রিকেটের এক সফল সেনাপতি। যে কোন কারণেই হয়ত সে সফল হয়নি। আমি নিশ্চিত সে নিজেও তার পারফরমেন্সে অসন্তুষ্ট, হতাশ। ’

সেমিফাইনাল খেলতে না পারা কোচকে খুব একটা হতাশ করেনি বরং জয়গুলোকেই বড় করে দেখছেন তিনি। বলেন, ‘আমি সে অর্থে হতাশ নই। বরং আমরা তিনটি ম্যাচ জিতেছি। দু দুটি বড় দলকে হারিয়েছি। সেটাই অনেক কৃতিত্বের, গর্বেরও। আমি আমার দলকে নিয়ে সন্তুষ্ট, গর্বিত। ’

বাংলাদেশ সময়: ১০১১ ঘণ্টা, জুলাই ০৩, ২০১৯
এমকেএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপ ২০১৯ এর সর্বশেষ